পুত্র সন্তান নিয়ে সাকিব-শিশিরের আবেগঘন স্ট্যাটাস

পুত্র সন্তান নিয়ে সাকিব-শিশিরের আবেগঘন স্ট্যাটাস

ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। দুই কন্যা সন্তানের পর এবার পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছে জাতীয়দলের এ তারকা ক্রিকেটার। পুত্র সন্তান এবং শিশির উভয়ের ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন সাকিব।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে সাকিব আল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুক পোষ্টে সাকিব লিখেছেন, ‘আনন্দের সাথে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি যে, সোমবার (১৫ মার্চ) মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আমাদের কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান। আলায়না ও এরাম দেখা পেয়েছে তাদের ছোট ভাইয়ের। শিশির ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছে। সকল শুভকামনা ও প্রার্থনার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের জন্য সবাই দু’আ করবেন।’

এদিকে পুত্র সন্তানের জননী হওয়ার আনন্দে ভাসছেন সাকিবপত্নী শিশির। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে একটি স্ট্যাটাসে শিশির তার আনন্দের কথা জানান। 

স্ট্যাটাসে শিশির লেখেন, ‘দুটি সুন্দর রাজকন্যার পর এবার সুদর্শন যুবরাজ। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এরচেয়ে ভাল জীবন কল্পনাও করতে পারি না! আমাদের জুনিয়রের জন্য ভালবাসা শুভেচ্ছার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ!’

সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান সাকিব। তবে পুত্র সন্তানের নাম কি রাখা হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিয়ের পর ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর প্রথমবারের মত কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের প্রথম সন্তানের নাম রাখা হয় আলাইনা হাসান অব্রি। এর পাঁচ বছর পর দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের বাবা হন তিনি। দ্বিতীয় কন্য সন্তানের নাম রাখেন এরাম হাসান।

এর আগে বছরের শুরুতে ফেসবুকে স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানান সাকিব। ছবিটিতে এই দম্পতির সংসারে নতুন অতিথি আসার আভাস দেওয়া হয়।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন বছর, নতুন শুরু, নতুন সংযোজন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।’

১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করা সাকিবের ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়।

২০০৯ সালে একমাত্র বাংলাদেশি অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন। এরপর টেস্টেও সেরা অলরাউন্ডারের আসন দখল করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের তিন বিভাগের সেরা অলরাউন্ডার হন।

পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

তবে ২০১৯ সালের অক্টোবরের শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব ক্রিকেট বড় এক ধাক্কা খায়। সাকিব আল হাসানকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে দু বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় এই শাস্তি দেওয়া হয় তাকে। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ফের মাঠে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

আপনি আরও পড়তে পারেন